Tuesday 11 February 2020

১৮ ফেরুয়ারি অনুষ্টিত হবে কবি গিয়াস উদ্দিনের লোক উৎসব সফলের লক্ষে ব্যাপক প্রচার প্রচারনা


ছাতকে প্রতিপক্ষের আঘাতে যুবক আহত

ছাতকে প্রতিপক্ষের স্ক্রু-ড্রাইভারের আঘাতে নাজমুল ইসলাম(১৮) নামের এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছে। তাকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার সকালে শহরের কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার সংলগ্ন এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। নাজমুল ইসলাম শহরের চাঁদনীঘাট এলাকার আব্দুল হাসিমের পুত্র। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শহরের কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার সংলগ্ন ডোগলা বাড়ি এলাকার উদয় শব্দ করের পুত্র মাধু শব্দ করের স্ত্রীর সাথে চাঁদনীঘাট এলাকার মৃত নূর মিয়ার পুত্র রফিক মিয়ার পরকীয়া চলে আসছিল। রোববার রাতে মাধু শব্দকর ঘরে না থাকার সুবাদে রফিক মিয়া মাধুর স্ত্রীর সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়। এ সময় মাধুর পুত্র নিবাস শব্দকর তার মাকে আপত্তির অবস্থায় রফিক মিয়াকে বেধড়ক মারপিট করে। এ ঘটনার জের ধরে সোমবার সকালে রফিক মিয়ার ভাই নাজমুল ইসলাম নিবাসের ছোট ভাই সুভাশকে মারধর করে। এসময় উত্তেজিত হয়ে নিবাস তার হাতে থাকা স্ক্রু-ড্রাইভার দিয়ে নাজমুল ইসলামকে স্ব-জোরে আঘাত করলে সে মাটিতে লুটে পড়ে। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে হাসপাতালের ডাক্তার তাকে ঢাকায় প্রেরন করেন।##

ছাতকে ইউপি চেয়ারম্যানের উদ্যোগে প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে মতবিনিময়


ছাতক প্রতিনিধি::ছাতকে প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষকদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বিকেলে স্থানীয় গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমানের উদ্যোগে পরিষদ হল রুমে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইউপি চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমানের সভাপতিত্বে ও ইউপি সদস্য হুসাইন আহমদ লনির পরিচালানায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মানিক চন্দ্র দাশ, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিপি বেগম। বক্তব্য রাখেন, জালালপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল খালিক, বেরাজপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মানিক মিয়া, লক্ষিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল হক, পীরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিকুল ইসলাম, দশঘর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বশির উদ্দিন, বাউভোগলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নান্টু ঞ্জন চন্দ, মোল্লাআতা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া বেগম, বিলপার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাদিরা বেগম, তকিপুর হাউলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিবেদীতা তরফদার, নতূনবাজার ধারণ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আম্বিয়া বেগম, গোয়াসপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিপ্রা রানী রায়, বিশ্বম্ভরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রমা রায়, গোবিন্দনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উর্মী নাথ, খাগামুড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাহিমা বেগম, কাটালপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজশ্রী পথ্য, বুড়াইরগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আলমগীর হোসেন।
এসময় ইউপি সচিব অধির রঞ্জন দাস, ইউপি সদস্য সামছুল হক, আলকাব আলী, মাহমদ আলী, নিজাম উদ্দিন, সদস্যা রেহেনা বেগম, ছাদিকা বেগম ও শুভা রানী দাস, ইউনিয়নের বিভিন্ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে পরেশ দাস, অনুপম কর, অমিতাভ রায়, আবু তাহের, বিপ্লব কান্তি দাস, রোকেয়া বেগম, ফাতেমা বেগম, সুমনা আক্তার, রুকসানা বেগম, মনোয়ারা বেগম, মাধবী রানী রায়, লুৎফা বেগম, সাইদা আফরিন, রেজিয়া বেগম, আছমা বেগম, মিলি, রাহেলা বেগম, শেলি বেগম, বিউটি বেগম, রুমি বেগম, প্রভা রানী, নাজমীন বেগম, নাজমা বেগম, নার্গিস বেগম, লিপি বেগম, আয়শা বেগম, তাহমীনা বেগম, নুরুন নাহার পারভীন, মিত্রা রানী দাস, তপোতি রানী, মুক্তি রানী, ফরিনা বেগম, লিপি বেগম, রুজিনা বেগম, ফাতেমা বেগম, লিমা দাস, ইউপি উদ্যোক্তা সুজেল মিয়াসহ ইউনিয়নের ১৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অন্যান্য সহকারী শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

দোয়ারায় খাস ভূমি জবর দখল করে স্থায়ী ভবন নর্মিাণরে অভযিোগ

হারুন-অর-রশদি,দোয়ারাবাজার থেকে::নামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের পানাইল গ্রামের বিয়ানীবাজার সংলগ্ন হালটের ডুবা খাস জমি ভরাট করে স্থায়ী পাকা দোকান কোঠা নির্মানের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ করেছেন দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নকিব উদ্দিনের পুত্র মো. আলী হোসেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, দোহালিয়া ইউনিয়নের পানাইল গ্রামের মৃত গোলাম কিবরিয়ার পুত্র সাবেক ইউপি সদস্য জিয়াউল হক ও তারই ভাই ফুলক মিয়া, একই গ্রামের মৃত ফয়জুল হকের পুত্র রায়হান ও আনান মিয়ার বিরোদ্ধে জোর পুর্বক খাস জমি জবর দখল করে দালান কোটা নির্মাণের অভিযোগ উটেছে। স্থানীয় সূত্র ও অভিযোগে জানা যায় সাবেক ইউপি সদস্য জিয়াউল হকের নেতৃত্বে একদল ভুক্ত কুচক্রি মহল খাস জমি জবর দখল করে আসছে। তারা উগ্রদাঙাবাজ লোক সবসময় বিভিন্ন স্থানে প্রভাব খাটিয়ে সরকারি খাস জমি দখল করে নেয়। খাস ভূমির সাথে আলী হোসেনের রেকডিয় ভূমির অংশ বিশেষ থাকায় সে অভিযোগ করায়, জিয়াউল হক তাকে প্রকাশ্যে মেরে ফেলার হুমকিও প্রধান করে।
সোমবার (১১ ফেব্রুঃ) বিকালে উপজেলা ভুমি অফিসের কাননগো পিয়ার আহমদ, সার্ভেয়ার নুরে আলম, বিয়ানীবাজার অভিযোগের ভুমি সরে জমিনে তদনন্তে এসে সাবেক ইউপি সদস্য জিয়াউল হকের দোকানের স্থায়ী স্থাপনার কাজ বন্ধ করে। এসময় সরকারি কর্মকর্তাদের সামনে সাবেক ইউপি সদস্য জিয়াউল হক ও তার অনুসারিরা আলী হোসেন ও তার ছোট ভাই জাবেদ নকিবকে মারপিট করার চেষ্টা চালায়।
এতে করে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের পরিবার নিরাপত্তা হীনতায় রয়েছে।
অভিযোগকারী আলীহোসেন বলেন, আমি জনস্বার্থে সরকারি খাসজমি ও আমার রেকডিয় ভুমির অংশ জবর দখল কারীর বিরোদ্ধে অভিযোগ করায় জিয়াউল হক আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। আমি এই জুলুমবাজ ভুমি খেকো সন্ত্রাসী চক্রের বিচার কামনা করছি।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া সুলতানা বলেন, খাসজমি জবর দখলের একটি অভিযোগ পেয়েছি। বর্তমানে দালান নির্মাণের কাজ বন্ধ আছে।##

১৮ ফেরুয়ারি অনুষ্টিত হবে কবি গিয়াস উদ্দিনের লোক উৎসব সফলের লক্ষে ব্যাপক প্রচার প্রচারনা

হাসান আহমদ, ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি::ছাতক প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, প্রাচীনতম দৈনিক যুগভেরী পত্রিকার সাংবাদিক মরমী কবি গিয়াস উদ্দিন আহমদ  ও মুজিববর্ষকে স্মরনীয় করার লক্ষে গিয়াস উদ্দিনের লোক উৎসব" সফলের লক্ষে  উদযাপন পরিষদের ব্যানারে লোক গানের উৎসব পালনের লক্ষে ব্যাপক প্রস্ততি গ্রহন করেছেন দেশ-বিদেশে মাটিতে। প্রতিদিনেই পৃথক পৃথক ভাবে হচ্ছে প্রচার-প্রচারনা মতবিনিময় প্রস্ততি সভা অনুষ্টিত হচ্ছে। উদযাপন পরিষদের ব্যতিত্রæমী প্রচার-প্রচারনায় সাধারন মানুষদেরকে আকৃষ্ট করে তোলা হয়।  উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের লোক উৎসব নিয়ে পোষ্টার ব্যানার টাঙ্গানো হয়। দেশ স্বাধীনতার ৪৯ বছর পর এবার শুরু হচ্ছে গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় একজন খ্যাতিমান মরমী কবি গিয়াস উদ্দিন আহমদের ”লোকউৎসব” এ উৎসবে দেশ-বিদেশে নাম-দামি কবি সাহিত্যিকদের আগমন ঘটবে। তাকে ঘিরেই চলছে প্রচার –প্রচারনা সভা ও গনমাধ্যম ফেইসবুকে লোকগানের উৎসবকে স্বাগত জানিয়ে মতামত শেয়ার দেয়ার ঝড় বইছে দেশ-বিদেশে। এ অনুষ্টানকে নেটের মাধ্যমে ভাইরাল করেছেন। ডিজিটাল ডিজাইনের গানের মঞ তৈরির প্রস্ততি চলছে। এদিকে আউল বাউল ও মরমী কবিদের উরব স্থান হচ্ছে ছাতকে গোবিন্দগঞ্জ এলাকায়  এখানে জন্মগ্রহন করেছেন ফকির পুথিঁ বিশারত মরমী কবি আফজল শাহ ওরফে আরমান আলী.বাউল কবি দুব্বিন শাহ.মরমী কবি মান উল্লাহ, মরমী কবি সাবাল আলী,মরমী কবি আছদ্দ উল্লাহ,মরমী কবি গিয়াস উদ্দিন আহমদ,মরমী কবি হাসিম আলী শাহ ,মরমী কবি আশুশাহ.মরমী কবি আজমান আলী,মরমী কবি সুরুজ আলী,ক্বারী আমির উদ্দিনসহ অসংখ্য লেখকদের জন্মভুমি হিসাবে পরিচিত রয়েছে।এদের মধ্যে অনেক  খ্যতিমান কবিরা প্রচারবিমুখ রয়েছেন বলে উদযাপন পরিষদ জানান। ৪৯ বছর পর লোক উৎসবকে ঘিরে লেখক,কবি, সাংবাদিক, গীতিকার, সুরকার, সাহিত্যিক, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, আইনজীবি, ব্যবসায়ি ও সমাজসেবী,শ্রমিকসহ সকলশ্রেনীর মানুষের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা ও প্রতিদিন বিকালে গোবিন্দগঞ্জ ট্রাফিক পয়েন্ট চেয়ারম্যান মাকেটে সকল শ্রেনীর মানুষদের এক মিলন মেলায় পরিনত হয়ে উঠেছে। আসছে  ১৮ ফেরুয়ারি অনুষ্টিত হবে সুনামগঞ্জ জেলাধীনের প্রানকেন্দ্র প্রাচীনতম গোবিন্দগঞ্জ বাজারে  ট্রাফিক পয়েন্টে এলাকায় বালু মাঠে অনুষ্টিত হচ্ছে মরমী কবি গিয়াস উদ্দিন আহমদের লোক উৎসব গানের ছন্দে ছন্দে মধুর সুরে লোক উৎসবের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে উদযাপন পর্ষদ। তাদের আয়োজিত লোক উৎসবে ভোটের বয়ান, ভাটিয়ালী, দেহতত্ত¡. মারফতি,মুশিদী,পল্লীগীতি, সিলেটী- গীত, জারি-সারি.দামাইল, পুঁথি, মালজুড়া, ও আঞ্চলিক গান পরিবেশন করবেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের খ্যতিমান কন্ঠ শিল্পীরা।এ লোক উৎসব কে কেন্দ্র করেই উপজেলাজুড়েই চলছে প্রচার ও হাটবাজারে টাঙ্গানো হচ্ছে ডিজিটাল লোক উৎসবের ব্যানারসহ নানা আমেজ দেখা দিয়েছে।লোক উৎসব শুরু হবে ১৮ ফেরুয়ারি দুপুর ২টায় থেকে ।মরমী কবির ভক্তবৃন্দের মিলন মেলা পরিনত হয়ে উঠবে উদযাপন পরিষদের আহবায়ক ওলিউর রহমান চৌধুরী বকুল ও মহিউদ্দিন দাবি করেন। এ উপলক্ষে উপদেষ্টা,বহি বাংলাদেশ ,অর্থ,প্রচার ও প্রকাশনা,গান বাছাইসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা পৃথক পৃথক কমিটি গঠন করেছে মরমী কবি গিয়াস উৎসব উদযাপন পর্ষদ। এ অনুষ্টানে সাবিক সহযোগিতা করবেন উপজেলা প্রশাসন।বাংলাদেশে খ্যতিয়ান কন্ঠ শিল্পিরা মরমী কবি গিয়াস উদ্দিন আহমদের লেখা গান গেয়ে দর্শক শ্রোতাদের মাতিয়ে তোলার হবে। এছাড়া সুনামগঞ্জ ,সিলেটসহ বাংলাদেশে সেরা  লোক শিল্পীরা মধুর সুরে সংগীতপ্রেমীদের উচ্ছসিত উপস্থিতিতে মুগ্ধতা করবেন বলে মত প্রকাশ করেন সুরকারবৃন্দরা। এমন আযোজনে অনুষ্ঠান সাজানো হচ্ছে তা দেখে শ্রেæাতারা অনেক ইতিবাচক অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরবে। এমন অনুষ্ঠানে প্রত্যেক শিল্পীদের অন্তত একবার আসা উচিৎ বলে সচেতন মহল অভিমত ব্যক্ত করেন।লোক উৎসব আয়োজন দেখে সকলশ্রেনীর মানুষের মনজয় করবে। দিনব্যাপী গানের উৎসবমুখর এ অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করে ছাতকে ক্যাবল।##

১৮ ফেরুয়ারি অনুষ্টিত হবে কবি গিয়াস উদ্দিনের লোক উৎসব সফলের লক্ষে ব্যাপক প্রচার প্রচারনা


হাসান আহমদ, ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি::ছাতক প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, প্রাচীনতম দৈনিক যুগভেরী পত্রিকার সাংবাদিক মরমী কবি গিয়াস উদ্দিন আহমদ  ও মুজিববর্ষকে স্মরনীয় করার লক্ষে গিয়াস উদ্দিনের লোক উৎসব" সফলের লক্ষে  উদযাপন পরিষদের ব্যানারে লোক গানের উৎসব পালনের লক্ষে ব্যাপক প্রস্ততি গ্রহন করেছেন দেশ-বিদেশে মাটিতে। প্রতিদিনেই পৃথক পৃথক ভাবে হচ্ছে প্রচার-প্রচারনা মতবিনিময় প্রস্ততি সভা অনুষ্টিত হচ্ছে। উদযাপন পরিষদের ব্যতিত্রæমী প্রচার-প্রচারনায় সাধারন মানুষদেরকে আকৃষ্ট করে তোলা হয়।  উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের লোক উৎসব নিয়ে পোষ্টার ব্যানার টাঙ্গানো হয়। দেশ স্বাধীনতার ৪৯ বছর পর এবার শুরু হচ্ছে গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় একজন খ্যাতিমান মরমী কবি গিয়াস উদ্দিন আহমদের ”লোকউৎসব” এ উৎসবে দেশ-বিদেশে নাম-দামি কবি সাহিত্যিকদের আগমন ঘটবে। তাকে ঘিরেই চলছে প্রচার –প্রচারনা সভা ও গনমাধ্যম ফেইসবুকে লোকগানের উৎসবকে স্বাগত জানিয়ে মতামত শেয়ার দেয়ার ঝড় বইছে দেশ-বিদেশে। এ অনুষ্টানকে নেটের মাধ্যমে ভাইরাল করেছেন। ডিজিটাল ডিজাইনের গানের মঞ তৈরির প্রস্ততি চলছে। এদিকে আউল বাউল ও মরমী কবিদের উরব স্থান হচ্ছে ছাতকে গোবিন্দগঞ্জ এলাকায়  এখানে জন্মগ্রহন করেছেন ফকির পুথিঁ বিশারত মরমী কবি আফজল শাহ ওরফে আরমান আলী.বাউল কবি দুব্বিন শাহ.মরমী কবি মান উল্লাহ, মরমী কবি সাবাল আলী,মরমী কবি আছদ্দ উল্লাহ,মরমী কবি গিয়াস উদ্দিন আহমদ,মরমী কবি হাসিম আলী শাহ ,মরমী কবি আশুশাহ.মরমী কবি আজমান আলী,মরমী কবি সুরুজ আলী,ক্বারী আমির উদ্দিনসহ অসংখ্য লেখকদের জন্মভুমি হিসাবে পরিচিত রয়েছে।এদের মধ্যে অনেক  খ্যতিমান কবিরা প্রচারবিমুখ রয়েছেন বলে উদযাপন পরিষদ জানান। ৪৯ বছর পর লোক উৎসবকে ঘিরে লেখক,কবি, সাংবাদিক, গীতিকার, সুরকার, সাহিত্যিক, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, আইনজীবি, ব্যবসায়ি ও সমাজসেবী,শ্রমিকসহ সকলশ্রেনীর মানুষের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা ও প্রতিদিন বিকালে গোবিন্দগঞ্জ ট্রাফিক পয়েন্ট চেয়ারম্যান মাকেটে সকল শ্রেনীর মানুষদের এক মিলন মেলায় পরিনত হয়ে উঠেছে। আসছে  ১৮ ফেরুয়ারি অনুষ্টিত হবে সুনামগঞ্জ জেলাধীনের প্রানকেন্দ্র প্রাচীনতম গোবিন্দগঞ্জ বাজারে  ট্রাফিক পয়েন্টে এলাকায় বালু মাঠে অনুষ্টিত হচ্ছে মরমী কবি গিয়াস উদ্দিন আহমদের লোক উৎসব গানের ছন্দে ছন্দে মধুর সুরে লোক উৎসবের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে উদযাপন পর্ষদ। তাদের আয়োজিত লোক উৎসবে ভোটের বয়ান, ভাটিয়ালী, দেহতত্ত¡. মারফতি,মুশিদী,পল্লীগীতি, সিলেটী- গীত, জারি-সারি.দামাইল, পুঁথি, মালজুড়া, ও আঞ্চলিক গান পরিবেশন করবেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের খ্যতিমান কন্ঠ শিল্পীরা।এ লোক উৎসব কে কেন্দ্র করেই উপজেলাজুড়েই চলছে প্রচার ও হাটবাজারে টাঙ্গানো হচ্ছে ডিজিটাল লোক উৎসবের ব্যানারসহ নানা আমেজ দেখা দিয়েছে।লোক উৎসব শুরু হবে ১৮ ফেরুয়ারি দুপুর ২টায় থেকে ।মরমী কবির ভক্তবৃন্দের মিলন মেলা পরিনত হয়ে উঠবে উদযাপন পরিষদের আহবায়ক ওলিউর রহমান চৌধুরী বকুল ও মহিউদ্দিন দাবি করেন। এ উপলক্ষে উপদেষ্টা,বহি বাংলাদেশ ,অর্থ,প্রচার ও প্রকাশনা,গান বাছাইসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা পৃথক পৃথক কমিটি গঠন করেছে মরমী কবি গিয়াস উৎসব উদযাপন পর্ষদ। এ অনুষ্টানে সাবিক সহযোগিতা করবেন উপজেলা প্রশাসন।বাংলাদেশে খ্যতিয়ান কন্ঠ শিল্পিরা মরমী কবি গিয়াস উদ্দিন আহমদের লেখা গান গেয়ে দর্শক শ্রোতাদের মাতিয়ে তোলার হবে। এছাড়া সুনামগঞ্জ ,সিলেটসহ বাংলাদেশে সেরা  লোক শিল্পীরা মধুর সুরে সংগীতপ্রেমীদের উচ্ছসিত উপস্থিতিতে মুগ্ধতা করবেন বলে মত প্রকাশ করেন সুরকারবৃন্দরা। এমন আযোজনে অনুষ্ঠান সাজানো হচ্ছে তা দেখে শ্রেæাতারা অনেক ইতিবাচক অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরবে। এমন অনুষ্ঠানে প্রত্যেক শিল্পীদের অন্তত একবার আসা উচিৎ বলে সচেতন মহল অভিমত ব্যক্ত করেন।লোক উৎসব আয়োজন দেখে সকলশ্রেনীর মানুষের মনজয় করবে। দিনব্যাপী গানের উৎসবমুখর এ অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করে ছাতকে ক্যাবল।##

পদ্মা সেতুর ৩৬০০ মিটার দৃশ্যমান

                                              পদ্মা সেতুতে বসলো ২৪তম স্প্যান।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ২৪তম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে তিন হাজার ৬০০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১টা ২০ মিনিটে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে ৩০ ও ৩১ নম্বর পিলারের ওপর এ স্প্যানটি বসানো হয়। ইতোমধ্যে সেতুর প্রায় ৮৫.০৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে সেতু বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
পদ্মা সেতু বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর জানান, ২০১৭ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সেতুর প্রথম স্প্যান, ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি দ্বিতীয় স্প্যান , ১০ মার্চ তৃতীয় স্প্যান, ১৩ এপ্রিল চতুর্থ স্প্যান, ২৯ জুন পঞ্চম স্প্যান বসানো হয়।
এ ছাড়া ২০১৯ সালের ২৩ জানুয়ারি ষষ্ঠ স্প্যান, ২০ ফেব্রুয়ারি সপ্তম স্পেন, ২০ মার্চ অষ্টম স্প্যান, ১৮ এপ্রিল নবম স্প্যান ও ২-ফেরুয়ারি-২০২০ তারিখে ২৩তম স্প্যান বসানো হয়েছিল।
মাওয়া মুন্সীগঞ্জের প্রান্তের ১২-১৩নং পিলারের ওপর অস্থায়ীভাবে বসানো ছিল। সেখান থেকে আজ মঙ্গলবার সকালে ২৪তম স্প্যান নিয়ে শক্তিশালী ভাসমান ক্রেন তিয়ানি হাউ শরীয়তপুরের জাজিরার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
সকাল ১০টায় পৌঁছে। দুপুর ১টা ২০ মিনিটে ৩০ ও ৩১ নাম্বার পিলারের ওপর স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর কাজ আরও একধাপ এগিয়ে যায়।
এ নিয়ে জাজিরা প্রান্তে ১৪টি স্প্যান বসানো হলো। জাজিরা প্রান্তে দৃশ্যমান হলো ২১০০ মিটার। অপরদিকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে ১০ স্প্যান বসানো হয়। পদ্মা সেতুর দৃশ্যমান হলো ৩ হাজার ৬০০ মিটার।
প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মণ করা হবে। এর মধ্যে সবকটি পাইলিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে সেতু বিভাগ।
এ স্প্যানটি বসানোর সংবাদে পদ্মা পাড়ের মানুষের মধ্যে ব্যাপক আনন্দ উৎসাহ ও উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে গোটা দেশের যোগাযোগব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হবে।
দেশের অর্থনৈতিতে নতুন মাত্রা যোগ হবে। পদ্মা সেতুর দুই পাড়ে গড়ে উঠবে বিশ্বমানের শহর। কলকারখানায় ভরে উঠবে এ এলাকা। শ্রমজীবী মানুষের ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। সারা দেশের সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতি ঘটবে।
মঙ্গল মাঝির ঘাটের সামসুদ্দিন সরদার বলেন, পদ্মা সেতুর কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আজ ২৪তম স্পেন বসছে দেখে খুশি হলাম। আশা করি পদ্মা সেতু ২০২১ সালের মধ্যে যানবাহন চলাচলের উপযোগী হবে।
সেতু বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আ. কাদের বলেন, মঙ্গলবার পদ্মা সেতুর ২৪তম স্পেনটি বসানো হলো। ইতোমধ্যে সেতুর প্রায় ৮৫.০৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী বছরের জুলাই মাসের মধ্যে সবকটি স্পেন বসিয়ে সেতুটি দৃশ্যমান করে তুলব বলে আশা করছি।